Bangla Jokes No. 10225: মদখোরের মায়া-মমতা

এক লোক বারে (মদের দোকানে) গেলেন মদ খেতে। টেবিলে বসেই ওয়েটারকে বললেন, "আমাকে তিনটি আলাদা আলাদা গ্লাসে মদ সার্ভ করেন।" প্রথম বার খাওয়া শেষে আবার একইভাবে মদ সার্ভ করতে বললেন। প্রথম দিন ওয়েটার ব্যাপারটা মেনে নিলেও পরের দিন অপারগতা প্রকাশ করল। এতে ছোট-খাটো একটা ঝামেলা বেঁধে গেল। তখন বারের মালিক তাদের কাউন্টারে ডেকে সমস্ত ব্যাপার জানতে চাইলেন। 

ওয়েটার বলল, "স্যার, এই ভদ্রলোক একা মদ খেতে আসেন অথচ তিনটি আলাদা আলাদা গ্লাসে মদ সার্ভ করতে বলেন। প্রতি বার তিন তিনটা আলাদা গ্লাসে মদ সার্ভ করতে গিয়ে এক পাইন্ট মদ উবে যায়। এতে কোম্পানীর লস হয়।"

তারপর সেই ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলেন, "ভাই, আপনি কেন এভাবে মদ খান?"

তখন ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, "আমরা তিন ভাই। আমরা শেষ বার যখন মিলিত হই তখন তিন ভাই তিনটি গ্লাসে মদ নিয়ে প্রতিজ্ঞা করি, যে যেখানেই থাকি না কেন প্রত্যেকেই তিনটি গ্লাসে মদ নিয়ে একেক বার একে গ্লেসে চুমুক দিয়ে অন্য দুইজনকে স্মরণ করবো।"

বারের মালিক এতে খুশি হয়ে ঘোষণা দিলেন, "ভাই, আপনাদের ভাইয়ে ভাইয়ে এমন ভালোবাসা দেখে খুব খুশি হলাম।" তারপর বারের সব ওয়েটারকে ডেকে বলে দিলেন, "এই ভদ্রলোক যখন মদ খেতে আসবে তখন তাকে এভাবে তিনটি গ্লাসে মদ সার্ভ করবা। এতে আমার একটু লস হলেও আমি কিছু মনে করবো না।"

লোকটা সেই মদের দোকানে এভাবে দীর্ঘ দিন মদ খেলো কোন ঝামেলা ছাড়াই। হঠাৎ একদিন লোকটা দুইটি গ্লাসে সার্ভ করতে বলল। এতে ওয়েটার কিছুটা আশ্চর্য হলেও কিছু বলল না। কিন্তু খবরটা গোটা বারে মুহুর্তেই ছড়িয়ে পরল। মদ খাওয়া শেষে যখন কাউন্টারে বিল পরিশোধ করতে গেল তখন বারের মালিক বলল, "ভাই, আপনাকে কী বলে শান্তনা দেবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনাদের ভাইয়ে ভাইয়ে এমন ভালোবাসা চীরজীবী হয়ে থাকুক। আপনার ভাইয়ের আত্মা শান্তিতে থাকুক এই প্রার্থনা করি।"

এবার ভদ্রলোক বললেন, "ভাই, আসলে আপনারা যা ভাবছেন ব্যাপারটা সেরকম নয়। আমার কোন ভাই মরেনি। আসলে আমি নিজেই মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। শুধু অন্য দুই ভাইকে স্মরণ করছি।"

Bangla Jokes No. 10224: নাপিত ও পুরোহিত

একজন খ্রিস্টান ফাদার নাপিতের দোকানে গেলেন। নাপিত খুব সুন্দর করে তার চুল কেটে দিলো। ফাদার নাপিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে টাকা দিতে গেলে, নাপিত বলে, 'ফাদার, আপনি একজন পবিত্র মানুষ। আপনার কাছ থেকে টাকা নিলে পাপ হবে।'

পুরোহিত নাপিতকে আশীর্বাদ করে বললেন, 'তোমাকে অনেক ধন্যবাদ' এবং তারপর তিনি তার আপন কাজে চলে গেলেন। পরের দিন সকালে অলৌকিকভাবে নাপিত তার দরজায় ১০টি রৌপ্য মুদ্রা দেখতে পেল। 

Funny Emoji for bangla jokes
কিছু দিন পরে একজন সুফি দরবেশ নাপিতের দোকানে গিয়ে চুল কাটালেন এবং একইভাবে টাকা দিতে গেলে নাপিত বলল, 'মাফ করবেন, আপনি একজন আধ্যাত্মিক গুরু; আপনার কাছ থেকে টাকা নিলে পাপ হবে।'

পরের দিন সকালে যাদু-মন্ত্রের মতো নাপিত তার দরজায় ১০টি স্বর্ণ মুদ্রা দেখতে পেল।

পরের সপ্তাহে একজন রাব্বি (ইহুদি পুরোহিত) আসলেন, চুল কাটালেন, এবং একইভাবে টাকা দিতে গেলে নাপিত বলল, 'না রাব্বি, আপনি একজন বিদ্বান, জ্ঞানী, আমি আপনার কাছ থেকেও কোনও টাকা নেয়া ঠিক হবে না।'

পরের দিন সকালে নাপিত তার দোকান খুলতে গিয়ে দেখে ১০ জন রাব্বি চুল কাটার জন্য অপেক্ষা করছে।

Bangla Jokes No. 10223: যোসেফ স্তালিন ও আডলফ হিটলার

(১)
এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোসেফ স্তালিনকে প্রশ্ন করা হলো, "আপনি কি পোপকে শ্রদ্ধা করেন?"
স্তালিন পাইপে জোরে একটা টান দিয়ে একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে পাল্টা প্রশ্ন করলেন, "পোপের ক' ডিভিশন সৈন্য আছে?"

(২) 
Funny emoji for bangla jokesদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আডলফ হিটলারকে প্রশ্ন করা হলো, "আপনি যে বিশ্ব দখল করবেন তো আপনি কেমন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন?" 
হিটলার সরাসরি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বললেন, "আমার সাথে আসেন। দেখাচ্ছি।"

তারপর সিড়ি ভেঙ্গে একটি চারতলা ভবনের ছাদে নিয়ে গেলেন সব সাংবাদিককে। 
সেই ছাদের উপর এক দল সৈন্য পাহারা দিচ্ছিল সম্ভাব্য আকাশ পথে আসা আক্রমণ ঠেকানোর জন্য।

হিটলার ছাদে গিয়েই কমান্ড দিলেন, "এটেনশন!"
কমান্ড করা মাত্র সব সৈন্য লাইনে দাঁড়িয়ে গেল।
এরপর কমান্ড করলেন, "মার্চ অন!"

এরপর যা ঘটল তা দেখার জন্য সাংবাদিকরা মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। ছাদে কোন রেলিং নেই। ছাদের কিনারায় চলে যাচ্ছে তারপরও কেউ থামছে না। এরপর সামনের থেকে একেক সাড়ি সৈন্য ভবনের ছাদ থেকে নিচে পরে যাচ্ছে।  কিন্তু কেউ কমান্ড অমান্য করে মার্চ থামাচ্ছে না। কয়েক মুহুর্তেই কয়েক সাড়ি সৈন্য ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেল।

এরপর সাংবাদিকরা সবাই চিৎকার করে ওঠলেন, "থামান! থামান!"
এরপর যখন হিটলার কমান্ড করলেন, "স্টপ!" ঠিক তখনই সবাই থেমে গেল। 

Bangla Jokes No. 10222: বুয়ার বাংলা ব্যাকরণ

(১) 
দুই মহিলা গল্প করছে কার স্বামী কী করে সেটা নিয়ে।
প্রথম মহিলাঃ জানেন ভাবি, আমার স্বামী বিশাল চাকুরি করে। তার নিচে মানে তার আন্ডারে হাজার হাজার লোক থাকে। 
দ্বিতীয় মহিলাঃ তো আপনার স্বামী কোথায় চাকুরি করে?

প্রথম মহিলাঃ গোস্তানে। 


(২) 
দুই ছাত্র গল্প করছেঃ

প্রথম ছাত্রঃ জানিস আমার রোল এক। 
দ্বিতীয় ছাত্রঃ তাই নাকি? তোর ক্লাসে কতজন ছাত্র?
প্রথম ছাত্রঃ আমি একা। 

(৩)
আমাদের বুয়ার ভাষায় পুরুষ তিন প্রকার। যে পুরুষ বৌকে বছরে তিনটা শাড়ি দেয় সে হইল উত্তম পুরুষ। যে পুরুষ বৌকে বছরে দুইটা শাড়ি দেয় সে হইল মধ্যম পুরুষ। আর যে পুরুষ বৌকে বছরে মাত্র একটা শাড়ি দেয় সে হইল অধম পুরুষ।

Bangla Jokes No. 10221: ইহুদির ব্রেইন

একদল ইহুদি তাদের জন্য একটা নতুন উপাসনালয়ের ভিত্তি খনন করছিল। তখন এক জনের মাথায় হঠাৎ অদ্ভুত ভাবনার সৃষ্টি হলো।

সে অন্যদের জিজ্ঞাসা করলো, "আচ্ছা, আমরা এই খোঁড়া মাটি গুলো কী করব? "যেখানে আমাদের পবিত্র সিনাগগ নির্মিত হবে সেখানে তো আর স্তুপ করে মাটি ফেলে রাখতে পারি না।"

সবাই তখন মাটি খোঁড়া বন্ধ করে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে লাগলো। আসলেই তো এতো মাটি নিয়ে কী করা যায়? কোথায় ফেলা যায়? একেক জন একেক পরামর্শ দিচ্ছে আর অন্যরা সঙ্গে সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করছে।

Funny Emoji for Bangla Jokesহঠাৎ এক ইহুদি মুচকি হেসে হাত দিয়ে ইশারা করে সবাইকে চুপ করতে বলল। "আমার কাছে সমাধান আছে," সে ঘোষণা করল। "আমরা একটি গভীর গর্ত খুঁড়বো এবং তাতে  সিনাগগের জন্য খনন করা মাটি গুলো ফেলে সেটা বন্ধ করে দিবো। 

এবার সবাই করতালি দিয়ে এই প্রস্তাবটিকে সর্বসম্মতিক্রমে স্বাগত জানাল। কিন্তু আরেক ইহুদি প্রতিবাদ করে ওঠলো "এইটা কোন সমাধান হলো নাকি? এভাবে কাজ হবে না! নতুন খোঁড়া গর্তের মাটি দিয়ে আমরা কী করব? সেগুলো আবার কোথায় ফেলবো?

এটাও ভাবার বিষয় বটে। সবাই ভাবতে লাগলো নতুন সমস্যা নিয়ে।

এই পর্যায়ে আরেক জন বললো,  "এর সমাধান খুব সহজ। আমরা দ্বিতীয় আরেকটা গর্ত খনন করব এবং তার মধ্যে প্রথম গর্ত খোঁড়া মাটি এবং ভিত্তির জন্য খোঁড়া সব মাটি এক সাথে ফেলে দিবো। শুধু লক্ষ্য করতে হবে দ্বিতীয় গর্তটা যেন প্রথম গর্তটার চেয়ে দ্বিগুণ বড় হয়।"

এরপর আর তর্ক চলে না। এতো সুন্দর সমাধান না মেনে পারা যায় না। তাই সবাই চুপচাপ আবার সিনাগগের ভিত্তি খুঁড়তে ব্যস্ত হয়ে পরলো। 

Bangla Jokes No. 10220: চারপাশে চাপাবাজ

চাপাবাজ নেতা

ভোটের আগে এক নেতা মঞ্চে উঠে বক্তব্য দিচ্ছেন।  বক্তব্য তো না শুধু বিশাল বিশাল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। রাস্তা-ঘাট, মার্কেট, স্টেডিয়াম, স্কুল-কলেজ, কোন কিছুই বাদ দিচ্ছেন না। সবই বানিয়ে দিবেন।

তখন তার পিএস তাকে বললো, 'স্যার, আপনি যে এতকিছু দিবো বলছেন পারবেন সব বানিয়ে দিতে?' তখন নেতার সরল উত্তর, 'আরে বোকা, ওরা তো নেয়ার জন্য আসেনি, শোনার জন্য এসেছে।'

এরপর আবারো তিনি প্রতিশ্রুতি ফূলঝরি ঝাড়তেই থাকলেন। এক পর্যায়ে বলে বসলেন, 'আমি এই এলাকার নদীর উপর একটা ব্রিজ বানিয়ে দিবো।'

আবারও তার পিএস বললো, 'স্যার, এই এলাকায় তো কোন নদী নেই।' তখন নেতা আরো গলা চরিয়ে বললেন, 'নদী নেই তো কী হয়েছে।  দরকার হলে নদী খুঁড়ে তারপর ব্রিজ বানিয়ে দিবো। '

Funny Emoji for Bangla Jokes

চাপাবাজ রিক্সাওয়ালা

এক ভদ্রলোক শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোর যাবেন।  রিক্সাওয়ালাকে ডেকে বললো, 'মামা, যাবেন?'
রিক্সাওয়ালাকে বললো, 'যাবো। '
'ভাড়া কত?'
'৫০ টাকা'
কী কও মিয়া? এখান থেকে দাঁড়িয়েই দৈনিক বাংলা মোর দেখা যায়।  তার ভাড়া এতো?
রিক্সাওয়াল তখন বললো, "এখান থেকে তো চাঁদও দেখা যায়।  আপনাকে আমি পাঁচশ টাকা দিবো।  আমাকে চাঁদের দেশে নিয়ে যাবেন?

চাপাবাজ হকার

এক লোক মিশরের পিড়ামিড দেখতে গেলেন।  সেখানে এক হকার অনেক জিনিষ বিক্রি করছিল।  তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কঙ্কালও ছিলো।

একটা বড় কঙ্কাল দেখিয়ে লোকটি হকারকে জিজ্ঞেস করলো, 'ভাই, ঐ কঙ্কালটার দাম কতো?'

'এটা ফেরাউনের কঙ্কাল।  দাম এক হাজার ডলার।'

'একটা কঙ্কালের দাম এতো? থাক নেয়া লাগবে না।'

হকার তখন লোকটিকে একটা ছোট কঙ্কাল দেখিয়ে বললো, 'তাহলে এটা নিয়ে যান।  এটার দাম কম।'
তখন লোকটি জিজ্ঞেস করলো, 'এটা কার কঙ্কাল?'

'এটা ফেরাউনের ছোটকালের কঙ্কাল।'

Bangla Jokes No. 10219: একজন পাদ্রি ও নরকের দেবদূত

(১)
একজন পাদ্রি একটি ছোট্ট গ্রামের গির্জায় ধর্মীয় বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন।  কিন্তু রাস্তা চিনেন না। তাই তিনি একটি ছোট ছেলেকে দেখতে পেয়ে তাকে রাস্তা দেখিয়ে দিতে বললেন।
ছেলেটি তাকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়ার পর পাদ্রি বললেন, 'আজ রাতে তুমি অবশ্যই গির্জায় আসবে। সাথে তোমার সব বন্ধুদেরও নিয়ে আসবে। কেমন?'
''কিসের জন্য? 'ছেলেটি জিজ্ঞেস করে।
''কারণ আমি তোমাকে স্বর্গের রাস্তা দেখিয়ে দেবো।''
"তুমি মজা করছো?" ছেলেটির দুষ্টামিপূর্ণ হাসি।
"তুমি সামান্য এই গির্জার রাস্তা চেনো না; আর তুমি দেখাবে স্বর্গের রাস্তা?"

 (২)
Funny Emoji for Bangla Jokes
এক সকালে নরকের দেবদূত একটি কফি বারে গেলেন এবং এক কাপ কফির অর্ডার দিলেন। কফি খেয়ে চলে যাওয়ার আগে তিনি ওয়েট্রেসকে জিজ্ঞাসা করলেন বিল কতো এসেছে।
  "দুই পাউন্ড ষাট শিলিং," ওয়েট্রেস বলল।
  দেবদূত দুই শত ষাট টা এক শিলিং-এর কয়েন পকেট থেকে বরে করে মেঝেতে ছড়িয়ে দিয়ে বললেন, "এই নিন আপনার বিল।" তারপর কফি বার থেকে বেড়িয়ে গেলেন।
  পরেরদিন নরকের দেবদূত আবার সেই কফি বারে গেলেন এবং আগের মতোই এক কাপ কফি খেয়ে পাঁচ পাউন্ডের একটি নোট বের করলেন। ওয়েট্রেস প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমনই একটা সুযোগের অপেক্ষা করছিলো। সে ২৪০ পেনি মেঝেতে ফেলে দিয়ে বললো, "এই নেন আপনার ভাঙতি ফেরত।"
দেবদূত একটু মুচকি হাসলেন। তারপর পকেট থেকে আরো ২০ শিলিং-এর কয়েন বের করে মেঝেতে ছড়িয়ে দিলেন। তারপর বললেন, "দয়া করে আমাকে আরেক কাপ কফি দেন।"

Bangla Jokes No. 10218: বৃষ্টি খোদার নিয়ামত

এক বৃষ্টির দিনে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা জানালার পাশে বসে ছিলেন। তিনি একজনকে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে দ্রুত দৌড়ে যেতে দেখলেন।

হোজ্জা তাকে থামিয়ে বললেন, বৃষ্টি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি। এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিও আল্লাহর নিয়ামত। সেই নিয়ামত এভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। হোজ্জার কথা শুনে লোকটি লজ্জিত হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে রওনা হলো।
Funny Emoji for Bangla Jokes

এর কয়েকদিন পর আবার বৃষ্টি নামল। তুমুল বৃষ্টি। এবার দৃশ্যপট উল্টো। লোকটি জানালা দিয়ে দেখল, হোজ্জা বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে যাচ্ছে।

লোকটি হোজ্জাকে ডেকে বলল, আরে তুমিই তো সেদিন বললে, বৃষ্টি খোদার নিয়ামত। আজ সেই নিয়ামত ফেলে তুমিই পালিয়ে যাচ্ছ?


হোজ্জা কিন্তু লোকটির কথায় থামল না। বরং দৌড়াতে দৌড়াতেই বলল, হ্যাঁ, আমি এখনও তাই বলছি। খোদার সেই নিয়ামত কি পা দিয়ে মাড়ানো উচিত? এ জন্যই তো দ্রুত বাড়ি যাচ্ছি।

Bangla Jokes No. 10217: ঈশ্বর আমাকে বাঁচাবেন

এক খ্রিস্টান পাদ্রি সমুদ্রপথে ভ্রমণের সময় জাহাজ থেকে পড়ে গেলেন।  তিনি সাঁতার জানতেন না।  হাবুডুবু খেতে খেতে সে বাঁচার জন্য ঈশ্বরের নিকট সাহায্য চাইতে লাগলেন।   

Funny Emoji for Bangla Jokesপাশ দিয়ে একটা নৌকা যাওয়ার সময় একজন চিৎকার করে বললেন, "আপনার কি সাহায্য দরকার, স্যার?" পাদ্রি শান্তভাবে বললেন, "না, ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন।"

একটু পরে, একটি মাছ ধরা নৌকা আসলো এবং একজন জেলে জিজ্ঞাসা করল, "স্যার, আপনার কি সাহায্য দরকার?" পাদ্রি আবার জবাব দিলেন, "না, আমার কোন মানুষের সাহায্য দরকার নেই।  ঈশ্বর আমাকে বাঁচাবেন।"

অবশেষে পাদ্রি ডুবে মারা গেলেন এবং স্বর্গে পৌছালেন। ধর্মপ্রচারক ঈশ্বরকে হতাশ কন্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি আমাকে কেন বাঁচালেন না?"

ঈশ্বর বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলেন, "আরে বোকা, আমি তোমাকে বাঁচানোর জন্য দুই-দুইটা নৌকা পাঠিয়েছিলাম!"

Bangla Jokes No. 10216: ঘোড়ার ডিম

এক বোকা লোকের শখ হলো ঘোড়ায় চরবে।  কিন্তু ঘোড়া কেনার মতো অতো টাকা তার কাছে নেই।  তাই সে ঠিক করলো ঘোড়া না কিনে ঘোড়ার ডিম কিনবে।  সেই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে।  এক সময় সে বাচ্চা বড় হবে।  তখন সে ঘোড়ায় চরতে পারবে।  এভাবে অল্প টাকাতেই একটা ঘোড়ার মালিক হতে পারবে। 

কিন্তু ঘোড়ার ডিম কোথায় পাওয়া যায়? আশে-পাশের সব প্রতিবেশীকে জিজ্ঞেস করলো।  কিন্তু কারো কাছেই ঘোড়ার ডিমের কোন হদিস পেলো না।  অতএব, ঘোড়ার ডিমের তালাশে দেশ-বিদেশে, পাহাড়ে-জঙ্গলে, হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াতে লাগলো।  এভাবে ঘোড়ার ডিমের তালাশ করতে করতে সে এক বিশাল হাটে এসে হাজির হলো। 

Funny Emoji for Bangla Jokesএদিকে এক ঠগবাজ সাদা চুন ধরা এক পচা কুমড়ো নিয়ে হাটে এসেছে।  পচা বলে কুমড়োটা বিক্রি হচ্ছিলো না।  বোকা লোকটা সেই ঠগবাজের কাছেই এসে পরলো।  তাকে জিজ্ঞেস করলো, "ভাই, ঘোড়ার ডিম কোথায় পাওয়া যাবে?"

ঠগবাজ, "আরে ভাই, আমি তো ঘোড়ার ডিম নিয়েই বসে আছি। "

বোকা লোক, "ঘোড়ার ডিম এতো বড়?"

ঠগবাজ, "আরে মিয়া, তুমি কি মনে করেছো ঘোড়ার ডিম মুরগীর ডিমের সমান হবে? বড় জানোয়ারের বড় ডিম; বুঝলা মিয়া?"

বোকা লোক, "কিছু মনে করবেন না, ভাই।  আমি তো আগে কোন দিন ঘোড়ার ডিম দেখিনি তাই বুঝতে পারিনি।  এটার দাম কতো, ভাই?"

ঠগবাজ, "ম্যালা টাকা।  কিন্তু এতো টাকা তোমার কাছে আছে?"

বোকা লোক ট্যাক বের করে বলল, "ভাই, আমার কাছে এর বেশি টাকা নেই। "

ঠগবাজ, "ঠিক আছে যা আছে তাই দাও।  তোমার যখন এতো শখ। "

বোকা লোক, "কিন্তু এই ডিম ফুটে কিভাবে-কখন ঘোড়ার বাচ্চা বের হবে?"

ঠগবাজ, "খুব সাবধানে এই ডিম নাড়াচাড়া করবা, মিয়া।  সব সময় মাথায় রাখবা যেন ভেঙ্গে না যায়।  আর সব সময় এর দিকে খেয়াল রাখবা।  খুব তেজি ঘোড়ার ডিম।  তাই বাচ্চা ফুটে বের হয়েই দৌড় লাগাবে।"

বোকা লোকটি সেই ডিম কিনে মাথায় করে হেটে বাড়ির পথ ধরলো।  এদিকে খুব গরম পরেছে।  পথে চলতে চলতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে সে এক গাছের নিচে ঘুমিয়ে পরলো।  এদিকে পচা কুমড়োটা ভ্যাপসা গরমে আরো পচে এক সময় সজোরে শব্দ করে ফেটে গেলো।

সেখানে এক হরিণ ঘাস খাচ্ছিলো।  সেই শব্দে হরিণটা ভয়ে দৌড় দিলো।  আর তখনই বোকা লোকটার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।  তখন হরিণটাকে ঘোড়ার বাচ্চা ভেবে সে হরিণটার পিছনে দৌড়াতে লাগলো।  কিন্তু হরিণকে কি আর দৌড়ে ধরা যায়?

অগত্যা সে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ঘোড়ার বাচ্চা অর্থাৎ হরিণ ধরা বাদ দিয়ে বাড়ির পথ ধরলো।  এলাকায় গিয়ে যখন সে ঘটনা বললো তখন সবাই ভাবলোঃ আগে থেকেই তো সে আধা পাগল ছিল ঘোড়ার ডিম তাকে পুরোই পাগল বানিয়ে ছেড়েছে।